যিয়াদাতে লাবান
(প্রাকৃতিক উপায়ে মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে নিশ্চিন্ত সহায়ক সমাধান)
ব্র্যান্ডঃ বি.কে সার্ভিস ইন্টারন্যাশনাল
ধরনঃ খাবার।
কিসের তৈরীঃ স্পেশাল লবন।
যিয়াদাতে লাবান শুধুমাত্র লবণ নয়, এটি কোরআনিক রুকাইয়া দ্বারা প্রস্তুত একটি বিশেষ উপাদান, যা জি¦ন-যাদুর বাধা দূর করতে সাহায্য করে এবং বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
উপাদান ও প্রস্তুতপ্রণালীঃ-
কোরআনের নির্দিষ্ট আয়াত, সূরা ও রুকিইয়ার মাধ্যমে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রস্তুতকৃত।
প্রাকৃতিক ও বিশুদ্ধ লবণের ব্যবহারে কার্যকরী সমাধান।
বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকেও লবণ শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালেন্স রক্ষা করে, যা দুধ উৎপাদন
বৃদ্ধিতে সহায়ক।
১. বুকের দুধ কম হওয়ার আধ্যাত্মিক কারণঃ-
(ক) জিনের বাঁধা ও শারীরিক প্রভাবঃ-
যাদু ও জি¦নের প্রভাবে মায়ের শরীরে কিছু বিশেষ পরিবর্তন দেখা যেতে পারে, যা স্তনে দুধ উৎপাদনের ওপর প্রভাব ফেলে।
হরমোনে পরিবর্তন: যাদুর কারণে মায়ের শরীরে প্রোল্যাকটিন ও অক্সিটোসিন হরমোনের মাত্রা কমে যায়, যা দুধ উৎপাদন কমিয়ে দেয়।
রুহানি দুর্বলতা: অনেক সময় মায়েরা অকারণে ক্লান্তিবোধ করেন, বুক ভারী লাগে, দুধের স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা পড়ে।
বাচ্চার দুধ খেতে অনীহা: যাদুর কারণে অনেক বাচ্চা মায়ের দুধ মুখে নিতে চায় না, এমনকি দুধ খেলেও পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না।
খাবার থেকে উপকার না পাওয়া: মায়েরা প্রচুর পুষ্টিকর খাবার খাচ্ছেন, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না?
এটি যাদুর একটি লক্ষণ হতে পারে।
(খ) খাবারের ওপর যাদুর প্রভাবঃ-
অনেক সময় যাদুকারীরা খাবার বা পানিতে যাদু করে দেয়, যা খাওয়ার ফলে শরীর ভেতর থেকে দুর্বল হয়ে যায়।
বিশেষত লবণ যাদুর অন্যতম প্রধান বাহক, তাই যাদু নষ্ট করার জন্য লবণকেই ব্যবহার করা হয়।
২. লবণের ইসলামিক গুরুত্ব ও রুকইয়াঃ-
(ক) নবীজি ﷺ-এর উপদেশ;
হাদিসে এসেছে, নবী ﷺ খাবার শুরুর আগে ও শেষে লবণ গ্রহণ করতেন এবং এটি বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধক বলেও উল্লেখ করেছেন।
(খ) রুকাইয়া ও লবণের সংযোগঃ-
রুকইয়ায় লবণ পানির ব্যবহার অন্যতম কার্যকর পদ্ধতি।
ইসলামিক চিকিৎসা অনুসারে, লবণ জি¦ন ও যাদুর নেতিবাচক প্রভাব নষ্ট করতে পারে।
৩. যিয়াদাতে লাবান-এর কার্যকারিতা
(ক) জিন ও যাদুর বাধা দূর করাঃ-=
কোরআনিক আয়াত ও রুকইয়া দ্বারা প্রস্তুত হওয়ায় এটি খাবার থেকে যাদুর প্রভাব দূর করে।
মায়ের শরীরে থাকা নেতিবাচক শক্তির বাধা কমিয়ে দুধ উৎপাদন স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।
৪. ব্যবহারবিধি ও বিশেষ পদ্ধতি
(ক) সরাসরি সেবন পদ্ধতিঃ-
এক চিমটি করে মুখে দিয়ে ধীরে ধীরে চুষে খাওয়া, এতে রুকইয়ার শক্তি সরাসরি শরীরে প্রবেশ করে।
প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে খাওয়া উত্তম।
(খ) খাবারের সাথে ব্যবহারঃ-
যেকোনো খাবারে এক চিমটি মিশিয়ে নিতে পারেন।
বিশেষত গরম ভাত বা স্যুপের সাথে মিশিয়ে খাওয়া বেশি কার্যকর।
(গ) পানিতে গুলিয়ে পান করাঃ-
এক গøাস কুসুম গরম পানিতে এক চিমটি যিয়াদাতে লাবান মিশিয়ে পান করলে দ্রæত শোষিত হয়।
রাতে ঘুমানোর আগে পান করলে রাতে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।
(ঘ) বিশেষ রুকইয়া পদ্ধতি (যাদুর প্রভাব নষ্ট করতে)ঃ-
এক চিমটি যিয়াদাতে লাবান এক গøাস পানিতে মিশিয়ে, সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, তিন কুল পড়ে ফুঁ দিয়ে পান করা।
এই প্রক্রিয়াটি ৭ দিন পর্যন্ত করলে ইনশাআল্লাহ যাদুর প্রভাব কমবে।
৫. দোয়া ও আমল: যাদুর প্রভাবমুক্ত হতে মায়েদের করণীয়ঃ-
প্রতিদিন সকালে ও রাতে আয়াতুল কুরসি ৭ বার পড়ে ফুঁ দেওয়া।
খাওয়ার আগে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম’ বলে পড়া ও দোয়া করা:
বুকের ওপর হাত রেখে ৭ বার: (রব্বি ইন্নি লিমা আনযালতা ইলাইয়া মিন খইরিন ফক্বীর)
(সূরা কাসাস: ২৪)
ঘরের ৪ কোণে ‘আবে হায়াত স্পেশাল ¯েপ্র’ ব্যবহার করা, যাতে যাদুর প্রভাব দূর হয়।
৬. বিশেষ সতর্কতা
❌ অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করা উচিত নয়, কারণ এটি রক্তচাপ বাড়াতে পারে।
❌ গর্ভবতী মা ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন।
✅ যাদুর প্রভাব থাকলে যিয়াদাতে লাবান-এর পাশাপাশি শেফায়ে জি¦ন ও আবে হায়াত ব্যবহার করলে কার্যকারিতা বাড়বে।
উপসংহারঃ-
যিয়াদাতে লাবান শুধু বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়ক নয়, বরং এটি জি¦ন ও যাদুর বাধা দূর করার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত একটি কোরআনিক উপাদান। এটি শরীরের হরমোন ঠিক রাখে, মানসিক প্রশান্তি আনে এবং বুকের দুধ ঘন ও পুষ্টিকর করতে সাহায্য করে।
নিয়মিত ব্যবহারে ইনশাআল্লাহ, দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং মায়েরা যাদুর নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তি পাবেন।
বিঃদ্রঃ- প্রোডাক্টটি সেবনের সময় এই নিয়ত করবেন যে, পৃথিবীর কোন জিনিস মানুষের উপকার বা ক্ষতি করতে পারেনা। মানুষের আশা বা ইচ্ছা পূরণ করার ক্ষমতাও রাখেনা। ইয়া আল্লাহ! তুমি এই প্রোডাক্টের উছিলায় আমার মনের আশা পূরণ করো। (আমিন)